ভিডিও

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ 

কাহালুতে মাদ্রাসা সভাপতি সুপারসহ ৭জনের  বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৭:৫৭ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৭:৫৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ কাহালুর দুর্গাপুর এনায়েতুল্যা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অভিভাবক সদস্যদের নাম প্রণয়নে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ এনে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আজিজার রহমান ও সুপার মো. ওমর ফারুকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। 


গত বৃহস্পতিবার উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের হারলতা গ্রামের আব্দুল জলিল বাদী হয়ে কাহালু থানা সহকারি জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ইতিমধ্যে ওই ৭ জনের নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেছে। জানা গেছে মাদ্রাসার নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন করার দিন ধার্য্য করা রয়েছে। বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন ভোটার তালিকার প্রতি পাতায় সীল সম্বলিত সভাপতি ও সুপারের যৌথ স্বাক্ষরে গত ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটারের নামের স্থলে (১৯৪) তার ছেলের নাম হাসান আলী এবং শিক্ষার্থীর নামের স্থানে তার নাম দেওয়া হয়েছে। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে অভিভাবক সদস্যদের নামে যে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে তাতে অনেক অনিয়ম রয়েছে।

এছাড়া ভোটার তালিকাটি ব্যপক ভাবে প্রচার করা হয়নি। এদিকে তালিকায় হারলতা গ্রামের অভিভাবক জহুরুল ইসলামকে ভোটার তালিকায় দু’বার ভোটার (ভোটার নং-১৪০ ও ১৭৪) বানানো হয়েছে। অপর দিকে দুর্গাপুরের অভিভাবক মিরাজুলকেও অনুরুপ দু’বার ভোটার (ভোটার নং-৪ ও ২৮)বানানো হয়েছে। নারেকেলী ও সিংড়াপাড়া  গ্রামের ৩  শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ভোটার তালিকায় তাদের নাম রাখা হয়নি। চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় অনিয়ম সক্রান্ত বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার  মুহা. ওমর ফারুকের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন অফিস থেকে ভোটার তালিকা তৈরী করা হয়েছে আমি ভালভাবে ভোটার তালিকা দেখিনি। তিনি আরও বলেন নারেকেলী গ্রামের দুই শিক্ষার্থী ভোটার তালিকা তৈরী হবার পর তারা ভর্তি হয়েছে তাই ভোটার তালিকায় অভিভাবকের নাম যায়নি।

এছাড়া সিংড়াপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষা না দেয়ার কারনে তার অভিভাবক ভোটার হতে পারেনি। অপর দিকে দুর্গাপুর ইন্তপাড়া গ্রামের দুই মেয়ে ওই মাদ্রাসায় পড়াশুনা করায় তাদের  পিতা ও মাতা উভয়কে ভোটার (ভোটার নং-০৩ ও ১৫৮) করা হলেও পরবর্তীতে বিধিগত কারনে মাতার নাম বাদ দেয়া হয় বলে জানা যায়। মাদ্রাসার সুপার বলছেন তিনি ভালভাবে ভোটার তালিকা দেখেননি অথচ ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত ভোটার তালিকার প্রতি পাতায় সীল সম্বলিত সভাপতি ও সুপারের যৌথ স্বাক্ষর রয়েছে। 

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS